বীজ বপন করা থেকে বেড়ে ওঠা পর্যন্ত বিষয়টি নির্ভর করে জমি তৈরির উপর। জমির মাটি কিভাবে তৈরি করা হবে তা নির্ভর করে বীজের আকৃতির উপর এবং আর্দ্রতার উপর। প্রচলিত জ্ঞান’র মাধ্যমে মাটির আর্দ্রতা পরীক্ষা করা সম্ভব।
মাটির আর্দ্রতা পরীক্ষা করার পদ্ধতি
প্রচলিত জ্ঞানের মাধ্যমে মাটির আর্দ্রতা পরীক্ষা করা যায়
- মাটি হাতে মুঠি করে নিয়ে জোড়ে চাপ দিতে হবে।
- চাপ দেবার পর মাটি থেকে পানি বের হলে বুঝতে হবে যে মাটি এখনো ভেজা এবং এখনো চাষের উপযোগী হয়নি।
- যদি মাটি থেকে পানি বের না হয় কিন্তু চাকা বা বলের আকার ধারণ করে এবং তা কোমর সমান উচ্চতা থেকে মাটির উপর ফেললে বলটি যদি ভেঙে না যায় তখন বুঝতে হবে মাটি ভেজা এবং লাঙ্গল চালাতে ২-৪দিন অপেক্ষা করতে হবে।
- মাটি পড়ার পর বলটি যদি সম্পূর্ণ ভেঙে গুঁড়া হয়ে যায় তাহলে বুঝতে হবে যে, চাষ দেবার সময় হয়েছে।
- আর মাটি যদি চাকা বা বল কোনটির আকারই ধারণ না করে তাহলে বুঝতে হবে মাটি শুকনা এবং চাষ করতে হলে বৃষ্টি হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে অথবা সেচ দিয়ে মাটিতে জো বা রস আনতে হবে।
উপকারিতা
- এর সাহায্যে কৃষক সঠিক সময়ে সুন্দর ও পরিপাটি করে জমি তৈরি করতে পারেন।
- এর ফলে ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি এবং আয় বৃদ্ধি সম্ভব।
প্রশ্ন ১ : জমির মাটি কর্ষণ পদ্ধতি কিসের উপর নির্ভর করে ?
উত্তর :বীজের আকৃতির উপর এবং আদ্রতার উপর।
প্রশ্ন ২ : হাতে চাপ দিয়ে মাটির আর্দ্রতা পরীক্ষায় কি সুবিধা পাওয়া যায় ?
উত্তর : এর ফলে সঠিক সময়ে সুন্দর ও পরিপারি করে জমি তৈরি করতে পারেন।
তথ্যসূত্র
বাংলার বীজ প্রথম সংখ্যা, বৈশাখ-আষাঢ় -১৪১৪।
Comments
Post a Comment